The 5 Best Short Moral Stories
এর মধ্যে কয়েকটি গল্প খুব সংক্ষিপ্ত এবং মৌলিক। আসলে কিছু এতটা প্রাথমিক যে তারা কোথাও কোথাও বাচ্চাদের বইতে বৈশিষ্ট্যযুক্ত। যাইহোক, বার্তার শক্তি একই থাকে।
এখানে আরও কয়েকটি ছোট ছোট নৈতিক গল্প রয়েছে:
1. আঙ্গুর ফল টক
একদিন এক ক্ষুধার্ত শেয়াল দেখতে পেলো গাছের ডাল বেয়ে আঙ্গুরের লতা উপরে উঠে গেছে আর সেখান থেকে থোকা থোকা পাকা পাকা আঙ্গুর ঝুলছে। লোভে শেয়ালের জিভে জল এলো। সে লাফিয়ে লাফিয়ে ঐ পাকা আঙ্গুর খাওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো কিন্তু কিছুতেই তার নাগাল পেলো না।
অনেকক্ষন চেষ্টা করেও কিছুতেই আঙ্গুর খেতে না পেরে হতাশ হয়ে সেখান থেকে চলে যেতে যেতে বললো-আঙ্গুর ফল টক।
(Moral) উপদেশঃ নিচু মনের মানুষেরা নিজে যেটা পেতে পারে না তার মাঝেই দোষ খুঁজে পায়।
2. আহাম্মকির ফল
এক কাক এসে বসল গাছের ডালে, মুখে তার একটুকরো মাংস। এক শিয়াল নীচে থেকে তাই দেখে ভাবতে লাগল, কি করে ঐ মাংসটুকু সে নিজে খেতে পায়।অনেক ভেবেচিন্তে সে শেষে ঐ কাকের দিকে চেয়ে বলতে লাগল, ভাই, সত্যি কি সুন্দর পাখি তুমি, কি সুন্দর তোমার অঙ্গের গঠন, তোমার পাখিদের রাজা হবার কথা, তোমার অবশ্য কণ্ঠস্বরও যদি তোমার চেহারার মতো সুন্দর হতো, মধুর হতো। কিন্তু হায়! তুমি তো অন্য পাখিদের মতো গান গাইতে পার না!শেয়ালের এই কথা শুনে কাক আর চুপ থাকতে পারল না, সে তখনই মহোল্লাসে কা-কা রবে ডাকতে শুরু করল. আর অমনি মাংসের টুকরো তার মুখ থেকে গেল পরে, আর শেয়াল অমনি তা মুখে করে নিয়ে দিল ছুট।
(Moral) উপদেশঃ অনেক মূর্খই অপরের স্তোতবাক্যে ভুলে নিজের সম্পদ হারায়।
3. কুকুর ও তার ছায়া
এক কুকুর মুখে এক টুকরা মাংস নিয়ে নদী পার হচ্ছিলো। হটাৎ সে জলে তাকিয়ে নিজের প্রতিবিম্ব দেখতে পেলো। সে বুঝতেই পারল না এটা তার নিজের ছায়া। সে ভাবলো অন্য কোন কুকুর তার চেয়েও বড় মাংসের টুকরা নিয়ে যাচ্ছে। তার লোভ হলো। যেই না সে মাংসের টুকরা কেড়ে নেয়ার জন্য ঘেউ ঘেউ করে উঠলো, ওমনি মুখ থেকে মাংস টুপ করে জলে ডুবে গেলো।
(Moral) উপদেশঃ অতি লোভ ভালো নয়।
4. কৃপণ ও সোনার মোহর
এক কৃপন তার সমস্ত সোনার মোহর বাগানের এক গাছের নিচে মাটিতে গর্ত করে লুকিয়ে রেখে দিল।কিন্তু প্রত্যেকদিন সে ওইখানে এসে মাটি খুঁড়ে নিশ্চিত হতো যে সব কিছু ঠিকঠাক আছে
এক চোর সেটা খেয়াল করলো। তারপর একদিন চুপিচুপি মাটি খুঁড়ে সব সোনা নিয়ে পালিয়ে গেলো চোরটা। পরদিন সকালে কৃপন লোকটা গাছের নিচে এসে দেখে বিশাল গর্ত। কোন সোনা নেই! হায় হায় করে উঠলো লোকটা।
কান্না শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলো। সব শুনে একজন বললো -'তুমি কি কখনো এখান থেকে কিছু খরচ করেছো?'
'না।'-বললো কৃপন লোকটা।
'তাহলে আর কি? রোজ এসে এই গর্তটাই দেখো। এমনিতেই সোনাগুলো তোমার কোন কাজে লাগছিলো না।'
(Moral) উপদেশঃ অব্যবহৃত সম্পদ অর্থহীন।
5.খরগোশ ও কচ্ছপ
একদা এক বনে এক খরগোশ আর কচ্ছপ পাশাপাশি বাস করত। দুই জনের মধ্যে বেশ বন্ধুত্বও ছিল। কিন্তু মাঝে মাঝে ঝগড়াঝাটি যে হতো না তা নয়। খরগোশ খুব জোরে ছোটে। যেন বাতাসের আগেই ছুটে চলে। আর কচ্ছপ? সে চলে ধীরে ধীরে হেলেদুলে। কচ্ছপের ওই হাঁটা দেখে একদিন খরগোশটি আর চুপ করে থাকতে না পেরে হেসে লুটোপুটি খাচ্ছিল, আর মুখ ফসকে বলেও ফেলল, দাদা তুমি কি হাঁটাই না শিখেছ!
কচ্ছপকে এ রকম ব্যঙ্গ করতে শুনে কচ্ছপটি খরগোশকে গম্ভীর কণ্ঠে বলল, এত হাসার কি আছে? এসো প্রতিযোগিতায় নামো। তখন দেখা যাবে।
প্রতিযোগিতা। হো হো করে খরগোশ হাসতে হাসতে বলল, প্রতিযোগিতা! তা কার সঙ্গে? তোমার সঙ্গেÑ বলেই আবার হো হো করে হাসতে লাগল। আচ্ছা, তুমি যখন নিজে মুখে বলছ তবে তো রাজি হতেই হয়। তাহলে কত দূর যাওয়ার প্রতিযোগিতা হবে? আর কখন শুরু হবে?
কচ্ছপ বলল, এখনই। ওই যে ওই অনেক দূরে ওই নদীর ধারে একটা অশ্বত্থ গাছ দেখা যাচ্ছে, এসো দেখি ওইখানে কে আগে পৌঁছতে পারে?
অতএব শুরু হয়ে গেল প্রতিযোগিতা। খরগোশ একটু দৌড়েই পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখতে পেল কচ্ছপ অনেক অনেক পেছনে পড়ে আছে। সেদিন রোদ্দুরের তেজ ছিল খুব। পাশেই একটা গাছের নিচে একটু ছায়া দেখে খরগোশ ভাবল, একটু বিশ্রাম নিলে ভালো হয়। এইখানে পৌঁছতে কচ্ছপের অনেক দেরি। একটু বিশ্রাম নেয়া যাক। হঠাৎ ফুরফুর করে হাওয়া বইতে লাগল। গাছের ছায়ায় বসে মিষ্টির ফুরফুর হাওয়ায় খরগোশের ঘুম পেয়ে গেল। খরগোশ কখন যে ঘুমিয়ে পড়ল তা নিজেই জানতে পারল না।
ওদিকে কচ্ছপ কিন্তু সমানে একটানা হেঁটে চলছিল। তেজি রোদ্দুর গ্রাহ্য না করে সে একটুও না থেমে হেঁটেই চলল।
এদিকে বেলা পড়ে এলো। খরগোশের ঘুম ভাঙল এবার। সে তখন আশপাশে তাকিয়ে কচ্ছপকে দেখতে না পেয়ে নদীর তীরের সেই অশ্বত্থ গাছটার দিকে ছুটতে থাকল। সেখানে গিয়ে হাঁফাতে হাঁফাতে খরগোশ দেখল তার আগেই সেখানে কচ্ছপ পৌঁছে বিশ্রাম করছে।
(Moral) উপদেশ : ধীর ও স্থির ব্যক্তিরাই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করে।
1. আঙ্গুর ফল টক
একদিন এক ক্ষুধার্ত শেয়াল দেখতে পেলো গাছের ডাল বেয়ে আঙ্গুরের লতা উপরে উঠে গেছে আর সেখান থেকে থোকা থোকা পাকা পাকা আঙ্গুর ঝুলছে। লোভে শেয়ালের জিভে জল এলো। সে লাফিয়ে লাফিয়ে ঐ পাকা আঙ্গুর খাওয়ার চেষ্টা করতে লাগলো কিন্তু কিছুতেই তার নাগাল পেলো না।
অনেকক্ষন চেষ্টা করেও কিছুতেই আঙ্গুর খেতে না পেরে হতাশ হয়ে সেখান থেকে চলে যেতে যেতে বললো-আঙ্গুর ফল টক।
(Moral) উপদেশঃ নিচু মনের মানুষেরা নিজে যেটা পেতে পারে না তার মাঝেই দোষ খুঁজে পায়।
2. আহাম্মকির ফল
এক কাক এসে বসল গাছের ডালে, মুখে তার একটুকরো মাংস। এক শিয়াল নীচে থেকে তাই দেখে ভাবতে লাগল, কি করে ঐ মাংসটুকু সে নিজে খেতে পায়।অনেক ভেবেচিন্তে সে শেষে ঐ কাকের দিকে চেয়ে বলতে লাগল, ভাই, সত্যি কি সুন্দর পাখি তুমি, কি সুন্দর তোমার অঙ্গের গঠন, তোমার পাখিদের রাজা হবার কথা, তোমার অবশ্য কণ্ঠস্বরও যদি তোমার চেহারার মতো সুন্দর হতো, মধুর হতো। কিন্তু হায়! তুমি তো অন্য পাখিদের মতো গান গাইতে পার না!শেয়ালের এই কথা শুনে কাক আর চুপ থাকতে পারল না, সে তখনই মহোল্লাসে কা-কা রবে ডাকতে শুরু করল. আর অমনি মাংসের টুকরো তার মুখ থেকে গেল পরে, আর শেয়াল অমনি তা মুখে করে নিয়ে দিল ছুট।
(Moral) উপদেশঃ অনেক মূর্খই অপরের স্তোতবাক্যে ভুলে নিজের সম্পদ হারায়।
3. কুকুর ও তার ছায়া
এক কুকুর মুখে এক টুকরা মাংস নিয়ে নদী পার হচ্ছিলো। হটাৎ সে জলে তাকিয়ে নিজের প্রতিবিম্ব দেখতে পেলো। সে বুঝতেই পারল না এটা তার নিজের ছায়া। সে ভাবলো অন্য কোন কুকুর তার চেয়েও বড় মাংসের টুকরা নিয়ে যাচ্ছে। তার লোভ হলো। যেই না সে মাংসের টুকরা কেড়ে নেয়ার জন্য ঘেউ ঘেউ করে উঠলো, ওমনি মুখ থেকে মাংস টুপ করে জলে ডুবে গেলো।
(Moral) উপদেশঃ অতি লোভ ভালো নয়।
4. কৃপণ ও সোনার মোহর
এক কৃপন তার সমস্ত সোনার মোহর বাগানের এক গাছের নিচে মাটিতে গর্ত করে লুকিয়ে রেখে দিল।কিন্তু প্রত্যেকদিন সে ওইখানে এসে মাটি খুঁড়ে নিশ্চিত হতো যে সব কিছু ঠিকঠাক আছে
এক চোর সেটা খেয়াল করলো। তারপর একদিন চুপিচুপি মাটি খুঁড়ে সব সোনা নিয়ে পালিয়ে গেলো চোরটা। পরদিন সকালে কৃপন লোকটা গাছের নিচে এসে দেখে বিশাল গর্ত। কোন সোনা নেই! হায় হায় করে উঠলো লোকটা।
কান্না শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এলো। সব শুনে একজন বললো -'তুমি কি কখনো এখান থেকে কিছু খরচ করেছো?'
'না।'-বললো কৃপন লোকটা।
'তাহলে আর কি? রোজ এসে এই গর্তটাই দেখো। এমনিতেই সোনাগুলো তোমার কোন কাজে লাগছিলো না।'
(Moral) উপদেশঃ অব্যবহৃত সম্পদ অর্থহীন।
5.খরগোশ ও কচ্ছপ
একদা এক বনে এক খরগোশ আর কচ্ছপ পাশাপাশি বাস করত। দুই জনের মধ্যে বেশ বন্ধুত্বও ছিল। কিন্তু মাঝে মাঝে ঝগড়াঝাটি যে হতো না তা নয়। খরগোশ খুব জোরে ছোটে। যেন বাতাসের আগেই ছুটে চলে। আর কচ্ছপ? সে চলে ধীরে ধীরে হেলেদুলে। কচ্ছপের ওই হাঁটা দেখে একদিন খরগোশটি আর চুপ করে থাকতে না পেরে হেসে লুটোপুটি খাচ্ছিল, আর মুখ ফসকে বলেও ফেলল, দাদা তুমি কি হাঁটাই না শিখেছ!
কচ্ছপকে এ রকম ব্যঙ্গ করতে শুনে কচ্ছপটি খরগোশকে গম্ভীর কণ্ঠে বলল, এত হাসার কি আছে? এসো প্রতিযোগিতায় নামো। তখন দেখা যাবে।
প্রতিযোগিতা। হো হো করে খরগোশ হাসতে হাসতে বলল, প্রতিযোগিতা! তা কার সঙ্গে? তোমার সঙ্গেÑ বলেই আবার হো হো করে হাসতে লাগল। আচ্ছা, তুমি যখন নিজে মুখে বলছ তবে তো রাজি হতেই হয়। তাহলে কত দূর যাওয়ার প্রতিযোগিতা হবে? আর কখন শুরু হবে?
কচ্ছপ বলল, এখনই। ওই যে ওই অনেক দূরে ওই নদীর ধারে একটা অশ্বত্থ গাছ দেখা যাচ্ছে, এসো দেখি ওইখানে কে আগে পৌঁছতে পারে?
অতএব শুরু হয়ে গেল প্রতিযোগিতা। খরগোশ একটু দৌড়েই পেছনে ফিরে তাকিয়ে দেখতে পেল কচ্ছপ অনেক অনেক পেছনে পড়ে আছে। সেদিন রোদ্দুরের তেজ ছিল খুব। পাশেই একটা গাছের নিচে একটু ছায়া দেখে খরগোশ ভাবল, একটু বিশ্রাম নিলে ভালো হয়। এইখানে পৌঁছতে কচ্ছপের অনেক দেরি। একটু বিশ্রাম নেয়া যাক। হঠাৎ ফুরফুর করে হাওয়া বইতে লাগল। গাছের ছায়ায় বসে মিষ্টির ফুরফুর হাওয়ায় খরগোশের ঘুম পেয়ে গেল। খরগোশ কখন যে ঘুমিয়ে পড়ল তা নিজেই জানতে পারল না।
ওদিকে কচ্ছপ কিন্তু সমানে একটানা হেঁটে চলছিল। তেজি রোদ্দুর গ্রাহ্য না করে সে একটুও না থেমে হেঁটেই চলল।
এদিকে বেলা পড়ে এলো। খরগোশের ঘুম ভাঙল এবার। সে তখন আশপাশে তাকিয়ে কচ্ছপকে দেখতে না পেয়ে নদীর তীরের সেই অশ্বত্থ গাছটার দিকে ছুটতে থাকল। সেখানে গিয়ে হাঁফাতে হাঁফাতে খরগোশ দেখল তার আগেই সেখানে কচ্ছপ পৌঁছে বিশ্রাম করছে।
(Moral) উপদেশ : ধীর ও স্থির ব্যক্তিরাই প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করে।
0 Comments